Header Ads

Header ADS

মানুষের সাথে মানুষের একটি মানবিক সম্পর্ক আছে আর সে কারণেই মানুষ; মানুষ_মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ


মানুষের সাথে মানুষের একটি মানবিক সম্পর্ক আছে আর সে কারণেই মানুষ; মানুষ
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ


মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নাওঘাটা গ্রামে জন্ম
তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর নাম প্রকাশিত হলো
কাব্য গ্রন্থ ১. জুলেখার মন, ২. অন্ধকারে একা, ৩. রক্তিম হৃদয়, ৪. আপন ভুবনে, ৫. বৈরিতার হাতে বন্দী, ৬. সময়ের বিমর্ষ দর্পণে, ৭. মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহর কাব্য সম্ভার, ৮. মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহর কবিতা সংগ্রহ।
কিশোর সাহিত্য ৯. দিক দিগম্বরে। প্রবন্ধ গ্রন্থ ১০. সমকালীন সাহিত্যের ধারা, ১১. যাদের হারিয়ে খুঁজি, ১২. নজরুল কাব্যের শিল্পরূপ, ১৩. ইতিহাস ও স্মৃতির আলোকে মহানগরীর সাহিত্য-সংস্কৃতি ও পত্রপত্রিকা, ১৪. বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি নজরুল, ১৫. নজরুল ইসলাম ও আধুনিক বাংলা কবিতা, ১৬. প্রাতিষ্ঠানিক নজরুল চর্চার ইতিবৃত্ত, ১৭. মধুসূদন-রবীন্দ্রনাথ, ১৮. সাহিত্যের রূপকার, ১৯. সাহিত্য ও সাহিত্যিক, ২০. কবিতা ও প্রসঙ্গ কথা, ২১. বাংলা কাব্যে ফররুখ আহমদ : তাঁর শক্তি ও স্বাতন্ত্র্য, ২২. বুদ্ধির মুক্তি ও রেনেসাঁ আন্দোলন, ২৩. বাংলা কাব্যে মুসলিম ঐতিহ্য, ২৪. বাঙ্গালী মুসলমানের মাতৃভাষা প্রীতি, ২৫. ভাষা আন্দোলনে আবুল কালাম শামসুদ্দীন, ২৬. মুসলিম বাংলার সাংবাদিকতা ও আবুল কালাম শামসুদ্দীন, ২৭. গোলাম মোস্তফা (জীবনী), ২৮. সুফী মোতাহার হোসেন (জীবনী), ২৯. কৈশোর কালের কথা ও সাহিত্য জীবনের সূচনা পর্ব, ৩০. পূবালী’র দিনগুলি ও সমকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতি।


রবীণ সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক ও নজরুল গবেষক, কবি মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১টা ৪০ মিনিটে ৮১ বছর বয়সে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ৫০৫/এ সেনপাড়া পর্বতা নিজ বাসভবন সংলগ্ন মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে মীরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


আফসার নিজাম : ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার আপনাকে কতোটা আলোড়িত করেছিলো?
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: সবিনয় নিবেদন করি, ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার আমাকে বিশেষ ভাবে আলোড়িত করেছে। এর কারণ, ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মৌলিক প্রতিভাদর কবি। তাঁর সৃষ্টিধর্মী প্রতিভার অবদানে বাংলা কাব্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ সৌকর্যমন্ডিত করেছন। এমন একজন কবির নামাঙ্কিত স্মৃতি পুরষ্কার প্রাপ্তিতে অনেকেই শুধু অনুপ্রাণিত নয় আলোড়িত হবেন। আমার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আমি ছিলাম শ্রদ্ধেয় কবি ফররুখ আহমদের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহধন্য। আমার সাহিত্য চর্চায় তিনি ছিলেন অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস। আমি প্রায় চারদশক ধরে ফররুখ চর্চা করছি। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ [১৯৪৯ সালে প্রকাশিত] ‘জুলেখার মন’ শ্রদ্ধেয় কবি ফররুখ আহমদের নামেই উৎসর্গকৃত। এ থেকেই আমার আলোড়িত হওয়ার ব্যাপারটি সবাই উপলব্ধি করবেন আশা করি।

আফসার নিজাম : ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আপনার মূল্যায়ন।
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার প্রদানের ব্যাবস্থা এবং এ সংক্রন্ত উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নির্মাণে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে পূনাঙ্গ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে আরা দীর্ঘকাল পরে। তবে আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নির্মাণে ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার প্রবর্তন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেননা কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন বাংলাদেশ তথা তদানন্তিন পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র নির্মাণের অন্যতম প্রবক্তা। কবি নিজেই তাঁর সৃষ্টিধর্মী রচনার মাধ্যমে মুসলমান প্রধান তদানন্তিন পূর্বপাকিস্তানে তথা বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বতন্ত্র্য নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ফররুখ আহমদ সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রের একজন প্রবক্তা ছিলেন বলেই তার নামে প্রবর্তিত পুরষ্কার এক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

আফসার নিজাম : সার্বভৌম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নির্মাণ সম্পর্ক আপনার মূল্যায়ন।
১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পথ ধরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, আমাদের এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ভৌগোলিক সীমান অপরিবর্ততই রয়েছে। অর্থাৎ সাবেক পূর্ব পাকিস্তান হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আগের মতোই মুসলমান। অনান্য জনগোষ্ঠী যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রস্টান এবং বিভিন্ন উপজাতীয় জনগোষ্ঠী প্রায় আগের মতোই রয়েগেছে। স্মরণযোগ্য যে, বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বহু পুরনো। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নির্মাণ অর্থাৎ এর বিকাশ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কবি সাহিত্যিকদের অবদান যে বিশেষ ভূমিকা রাখবে তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। বলা বাহুল্য স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষ এদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সচেষ্ট। তারা যে কেনো ধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসণের বিরোধী। আমাদের দায়িত্ব হবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসণের মুখে আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বালিষ্ঠভাবে তুলে ধরা।

আফসার নিজাম : লেখকে সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলতে হয় যে, লেখক মাত্রই কোনো না কোনো দেশ বা সমাজ সীমার বাসিন্দা। সৃষ্টি মুহূর্তে নিস্বঙ্গ জগতের অধিবাসী হলেও ব্যক্তিজীবনের তিনি কোনো না কোনো দেশ বা সমাজেই অধিবাস করেন। সুতরাং লেখকের পক্ষে সামাজিক দায়িত্ব পালন থেকে দূরে থাকা কিছুতেই কাম্য নয়। এটা সম্ভবও না। প্রত্যক্ষ ভাবেই হোক কিংবা পরোক্ষভাবেই হোক লেখককে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতেই হয়। যারা নিছক ‘শিল্পের জন্য শিল্প’ নীতিতে বিশ্বাসী তারা সামাজিক দায়িত্ব বোধকে অবহেলা করতে পারে। কিন্তু জীবনবাদী এবং মানবতাবাদে গভীরভাবে বিশ্বাসী কোনো লেখকের পক্ষে সামাজিক দায়িত্ব পালন সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা সম্ভব নয়। একজন কবির পক্ষে হয়তো ‘আকাশ কুসুম’ কল্পনা নিয়েও কাব্য রচনা সম্ভব কিন্তু সাহিত্য জীবনের পঙ্কেই ফোটে। সামাজ ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি রচিত হয়। সুতরাং সাহিত্যিকের সামাজিক দায়িত্ববোধ এসব রচনার মাধ্যমেই প্রতিফলিত। শুধু আমাদের সাহিত্যেই নয় বিশ্বসাহিত্যেও প্রত্যক্ষ করা যায় যে, সামাজিক দায়িত্ববোধ অনেক রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে। লেখক শুধু স্বপ্ন কল্পনার রাজ্যেই পরিভ্রমণ করেন নাই। সমাজেরর চৌহদ্দিতে এবং জনসাধারণের জীবনেও পরিভ্রমণ করেন। প্রত্যক্ষভাবে কিংবা রূপক, প্রতিকের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা, সংকট রূপায়িত্ব করেছেন এসব সমস্যার মুক্তির পথ নিদের্শ করেছেন।

আফসার নিজাম : কবি ফররুখ আমহমদের স্বপ্ন ও সংগ্রাম ছিলো মানবিকতার জয় বিষয়টি আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: এ সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় যে, ফররুখ আহমদ ছিলেন অসাধারণ রোমান্টিক কবিÑ স্বপ্ন কল্পনার অধিকারী তাঁর কবিতায় রয়েছে এর উজ্জ্বল পরিচয়। কিন্তু তিনি ক্রমান্বেয়ে স্বপ্ন কল্পার জগৎ থেকে নেমে এসেছেন বাস্তবতার ভিটায়। তার কবিতায় রূপায়িত হয়েছে বাস্তবতাবোধ এবং মানবতাবাদী চিন্তা চেতনা। মানবতার সংকট, নিগৃহিত, অত্যাচারিত, নিপিরিত জনগণের সমস্যা, সংকট তাকে ও তার কবি চেতনাকে এবং মানবিক মূল্যবোধকে দারুনভাবে আলোড়িত করেছে। তিনি রোমান্টিকতা থেকে সম্পূর্ন মুস্ত হয়নি বটে কিন্তু রোমান্টিকতার পাশাপাশি তিনি বাস্তবতাবোধেও উজ্জিবিত হয়েছেন, লিখেছেন। বাস্তব সমস্যা নির্ভর তথা মানুষের সমস্যা সংকট বিষয়ক অনেক কবিতা রয়েছে। বিশেষ করে তার সুবিখ্যাত ‘লাশ’ কবিতা এবং অন্যান্য অনেক কবিতায় তিনি মানুষের তথা মানবতার বিপর্যয়ের হৃদয়স্পর্শি চিত্রই তুলে ধরেছেন। আগেই বলেছি, ফররুখ আহমদ রোমান্টিকাতা থেকে ক্রমান্বয়ে বাস্তবতার ভিটায় নেমে এসেছেন। তার ফলেই তার স্বপ্ন ও সংগ্রাম হয়েছে মানবিকতার জয়। তার বহু সংখ্যক খন্ড কবিতা এবং দীর্ঘ কবিতায় বিশেষ করে কাব্যনাট্য ও মহাকাব্যে আমরা একজন মানবতাবাদী এবং সংগ্রামি কবিকেই খুঁজে পাই। ফররুখ আহমদের মানবতাবাদী চিন্তা চেতনা এবং সংগ্রামী সত্ত্বার পরিচয় দিতে গেলে কবির বহু কবিতার উদ্ধৃতি দিতে হয়। এই স্বল্প পরিসরের আলোচনায় এটা সম্ভব নয়।

সবিনয়ে নিবেদন করি যে, আমার প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বাংলা কাব্য ফররুখ আহমদ : তার শক্তি ও স্বাতন্ত্রের স্বরূপ’ শীর্ষক গ্রন্থে মানবতাবাদী ও সংগ্রামী চেতনা সম্পন্ন কাবিকে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে হয় বহু দণ্ড কবিতায় এবং তাঁর রচিত কাব্য নাটক ‘ নৌফেল ও হাতেম’ এবং মহাকাব্য ‘হাতেম তাঈ'তে কবির মানবতাবদী চিন্তা চেতনা, স্বপ্ন কল্পনায় এবং সংগ্রামী চেতনায় প্রকৃষ্ট উদাহরণ রয়েছে ফররুখ আহমদের সুবিখ্যাত ‘সাত সাগরের মাঝি’ শীর্ষক কাব্য গ্রন্থ এবং অন্যান্য কাব্য গ্রন্থেও কবির একটি প্রধান প্রবনতা ও বৈশিষ্ট্য  হলো মানবতাবাদী চিন্তা চেতনা এবং সংগ্রামী সত্ত্বার উদ্বোধন। কখনো প্রত্যক্ষ ভাবে কখনো রূপক, প্রতিকের মাধ্যমে তিনি এসব বৈশিষ্ট্যের কাব্যে রূপায়ন ঘটিয়েছেন।

আফসার নিজাম : মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক কেমন হওয়া প্রয়োজন?
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক প্রয়োজনের। প্রয়োজন হলেই মানুষ মানুষের কাছে যায়। যেমন তোমার প্রয়োজন হয়েছে তাই আমার কাছে এসেছো। আমার যখন প্রয়োজন হতো তখন আমিও মানুষের কাছে যেতাম। এই যে আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আছি কই কেউতো একবার দেখতে আসে না যারা আমার সাথে সুসম্পর্ক রাখতো তারাও আমার কাছে আসে না। একসময় প্রতিদিনই তারা আসতো। এখন আমার প্রয়োজন নেই তাই তারা আসে না। তুমিও আসবা না। তারপরও মানুষের সাথে মানুষের একটি মানবিক সম্পর্ক আছে আর সে কারণেই মানুষ; মানুষ।

আফসার নিজাম : কবি মতিউর রহমান মল্লিক সম্পর্কে কিছু বলেন।
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: কবি মতিউর রহমান মল্লিক আমার কাছে আসতো। সে তখন কবি হয়ে ওঠেনি। তবে আমাদের মাঝে সেরকম কোনো সম্পর্ক যে গড়ে ওঠেছে তা বলবো না। তিনি আমার কাছে এসে এক প্রকশ হতাসই হয়েছেন বলা যায়। যা তিনি ফররুখ আহমদের কাছে পেয়েছেন তাহলো একই সঙ্গে সাংগঠনিক শক্তি আর কাব্যশক্তি বা সাহিত্য প্রতিভা। আমার মাঝে শুধু ছিলো সাহিত্য প্রতিভা। আমি সাংগঠনিক কোনো কাছে আনন্দ পেতাম না। তাই তার থেকে দূরে থাকতাম। কিন্তু ফররুখ আহমদের ছিলে দুটোই। তাই মল্লিক সে দেখি বেশি আশা যাওয়া করতো। আমার কাছে শুধু সাহিত্য প্রয়োজন হলেই আসতো। তবে একটি বিষয় ফররুখ আহমদের মতো মল্লিকের কিন্তু ঐ যে আমি বললাম কাব্যশক্তি আর সাংগঠনিক শক্তি দুটোই ছিলো। তার কবিতা আমি পড়েছি তবে সেই রকম ভাবে কিছু বলতে পারবো না। কারণ একজন কবির সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে তার কবিতার উদৃতি দিতে হয় আমি তো এখন সেই উদ্বৃতি দিতে পারবো না। কারণ আমি এখন বই পড়ে পারি না।

আফসার নিজাম : আপনার সম্পর্কে কিছু বলেন।
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: আমার সম্পর্কে আর কি বলবো। আমি তো এই সাহিত্য জগত থেকে এখন অনেক দূরে। আমি ২০১০ সালে ব্রেন স্ট্রক করার পর এক প্রকাশ একা হয়ে গেছে। আমি তো আর পত্রিকায় গিয়ে গিয়ে বলতে পারবো না আমার জন্য কিছু করো। যারা পারে তাদের মতো আমি না। আমি অন্যরকম। তাইতো বেঁচে থেকেও সাহিত্য জগত থেকে মরে আছি।

আফসার নিজাম : আল মাহমুদ আপনার সম্পর্কে বলেন ‘মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ আমার ছন্দের শিক্ষক’
মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ: শুধু আল মাহমুদ কেনো আরো অনেক কবিই আমার কাছে ছন্দের তালিম নিয়েছে। আমি সেটাকে বড় করে দেখি না। যার যার কাব্য শক্তি দিয়ে সে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে। ছন্দের শিক্ষক মানে অধ্যাপকরা তো ছন্দের আদ্য-পান্ত সব জানে কিন্তু কবিতা লিখতে পাড়ে না। তাই কার কাছ থেকে ছন্দ শিখলো সেটা বড় কথা নয়। সে কি লিখলো সেটাই বড় কথা।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.