Header Ads

Header ADS

কবি সরকার আমিনের ফেসবুক কথামালা সম্পর্কে আমার বয়ান_আফসার নিজাম


আমরা তখন ছোট, বাচ্চা নয়। কবিতা আমাদের ভেতর খেলা করছে বর্ষার নতুন পানিতে খলসে মাছের মতো। বোয়াল মাছের কাছে হয়তো তেমন কিছু নয় তবুও আমরা কবিতা নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। আমাদের সামনে বোয়াল মাছের মতো হাজির ছিলো সরকার আমিন ভাইয়েরা। আমরা স্বপ্ন দেখতাম আমরাও একদিন কবি হবো। আমরাও হবো সরকার আমিন। তাই ভাইদের বইগুলো পরম যত্নে সংগ্রহ করে রাখতাম। পড়তাম আর সমালোচনা করার ভান করতাম। আমরাও সমালোচক হয়ে উঠেছি। ভাইয়ে ঐ কবিতার ছণ্দ হয় নাই। একমাত্রা কম আছে তবু চোরাই মাত্রার মতো ঠিকই উত্তরে গেছে। একে বলে মুনসিয়ানা। বিষয়ের গভীরতা অনেক। এই কবিতার গভীরতা নেই। গল্পটায় গল্প নাই ভাষা নান্দনিকতা আছে ইত্যাদি।

আমরা জানতাম আমাদের বিশ্বাসের বিপরীতে বাস করেন তাঁরা আমাদের অগ্রজরা তাদেঁর ঘৃণা করতে শিখায়নি। তাঁরা বলেছেন সবার মাঝেই বিরাজ করতে। সবার মাঝেই শিক্ষার উপকরণ লুকায়িত। তোমরা তোমাদের বিশ্বাসে অটল থেকে সাবার থেকে গ্রহণ করো কল্যাণময় নির্যাস। আমরা সেইভাবে বড় হয়ে উঠেছি। যদিও আমাদের বিরপীতে অবস্থানারীরা চরম সাম্প্রদায়ীক, বর্ণবাদী ও গোয়ার প্রকৃতির। তারা আমাদের একবাক্যে অস্বীকার করে। আমাদের বিশ্বাসে তারা এক মূহুর্তের জন্যও স্বীকার করতে চায় না। তারা প্রতিমূহূর্তে আমাদের বিনাস চায়। তারপরও আমরা আমাদের বিশ্বাসে অটল আছি সামনে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আর আমরা ঘৃণা নয় ভালোবাসার লাল পাপড়িগুলো বিলিয়ে যাবো যতোদিন আমাদের দেহে প্রাণ থাকবে।



সরকার আমিন ভাইয়ের বর্তামানের কয়েকটি ফেসবুক কথামালা পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে। যদিও তাঁর কথামালাগুলোই প্রশ্নবোধক আমি কয়েকটি প্রশ্নমালার উত্তর দিতে মনস্থির করেছি।

কথামালা-এক
আমি উল্লসিত নই, আমি খুব দুঃখিত
আমি দুঃখিত মাদ্রাসার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের জন্য। রঙিন মিথ্যার ফাঁদে ফেলে তাদের উন্মত্ত করা হয়েছে, বলির মোরগ বাননো হয়েছে। নেতা-মোল্লারা ভালই আছেন। বিমানে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আর বাচ্চারা ক্লান্ত দেহ নিয়ে এখানে সেখানে বিধ্বস্ত। ধর্মের নামে কী দুঃসহ প্রতারণা। আমি উল্লসিত নই। আমি খুব দুঃখিত। দারিদ্র, কুশিক্ষা আর মহান ধর্মের মতলবী ব্যাখ্যা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!

সরকার আমিন
6/5/13

কথামালা-এক জবাব

সরকার ভাইয়ের সাথে আমি এখানে খুব মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি ভাবছিলাম সত্যি তিনি উল্লসিত নয় দুঃখিত। কিন্তু পরের কথামালাগুলোতেই বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি তাঁর কথার কাছে নেই। তিনি মাদরাসার বাচ্চাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নি। তার প্রমাণ, বাচ্চাদের যারা হত্যা করেছে তাদের ব্যাপারে একটি ছত্রও বলেন নি। কারণ কি তিনি কি ঐ হত্যাকান্ডকে সমর্থন করলেন? তার পরের বাক্যেই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি নেতাদের বিপক্ষে বলেনছেন। আরো একটি বিষয় বেড়িয়ে এসেছে তা হলো তিনি সরাসরী আল কুরআনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। 'রঙিন মিথ্যার ফাঁদে ফেলে তাদের উন্মত্ত করা হয়েছে, বলির মোরগ বাননো হয়েছে।' রঙিন মিথ্যার ফাঁদে বলতে তো বেহেস্তের কথা বলা হয়েছে। আপনি আপনার নাস্তিক অবস্থান থেকে কথা বলেছেন তো তাই আপনার কাছে বেহেস্ত কোনো বিষয় না। কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ এবঙ রাসুল সা. তাদের কাছে একটি ইমানের অংশ। সে যদি বেহেস্ত দোজখ-এ বিশ্বাস স্থাপন না করে তা হলে সে মুসলমান নন। অতএব বাচ্চারা মুসলমান তারা 'রঙিন মিথ্যার ফাঁদে' জড়ায় নি। তারা এসেছে তাদের নবী সা.এর ওপর অপবাদ দেনেওয়ালাদের বিপক্ষে দাঁড়াতে। যেভাবে আপনি নাস্তিকতার (ইসলাম বিদ্ধেষী) পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আপনি কোন মোহে এই পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তা আমার জানা নেই।

'নেতা-মোল্লারা ভালই আছেন' আপনি বলেছেন নেতারা তো ভালোই আছেন। অবশ্যই ভালো থাকতে হয়। নেতা শূন্য হয়ে গেলে তো লড়ায়ে পরাজয় অনিবার্য। আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধে যদি আমদের মুক্তিযোদ্ধের মহানায়ক ওসমানী মারা যেতেন তাহলে আমাদের যুদ্ধ জয় হতো কি না আজ সন্দেহ। অতএব নেতা মারা যাবে না। এটাই যুদ্ধের নিয়ম। আমরা দেখলাম শ্রীলংকার তামিলদের অবস্থা। নেতা মারা গেলো তো তাদের লড়াই থেমে গেলো। এতোদিনকার ত্যাগ ধুলিতে মিশে গেলো।

'বাচ্চারা ক্লান্ত দেহ নিয়ে এখানে সেখানে বিধ্বস্ত।' বাচ্চারা ক্লান্ত দেহে নিয়ে এখানে সেখানে বিধ্বস্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু সেই ঘুমন্তবাচ্চাদের ওপর কি অমানুসের মতো গুলিচালালো তার বিপক্ষে একটি কথাও বলা হলো না। কেনো এই ইনোসেন্টদের উপর জানোয়ারের মতো গুলি করা হলো। কেনো হত্যা করা হলো। কি তাদের অপরাধ। এই প্রশ্নটি একবারের জন্যও তোলা হলো না। জানি না কেনো তোলা হলো না। নাকি কোনো মৃত্যুই আপনার হৃদয়কে নাড়া দেয় না। হত্যাকারীর প্রতি আপনার এতো মমতা কেনো বোঝা গেলো না।

'ধর্মের নামে কী দুঃসহ প্রতারণা।' আপনি ধর্ম করেন না আপনার কাছে ধর্মের কথাগুলো প্রতারণার সামিল। আপনি যে রাজনীতি করেন সেটা আপনার কাছে প্রতারণা না। সেটা আপনি ভিতর থেকে উপলব্ধি করেন। অতএব এখানে প্রতারণা কিছু নাই। আপনি আপনার বউ বাচ্চাদের ভালোবাসেন। এক জায়গায় বেড়াতে গেলেন আর সেখানে সন্ত্রাসীরা আপনাদের উপর আঘাত করলো সেই সময় আপনি ও ভাবী বেচে গেলেন আর বাচ্চারা মারা গেলো এখানে কি আপনি বাচ্চাদের সাথে প্রতারণ করেছেন? নিশ্চয় নয়। আপনি নিয়ে গিয়েছিলেন বেড়াতে আর সন্ত্রাসীরা আঘাত করলো। এখানে নিশ্চয় সন্ত্রাসীরা দায়ী। আর যদি কেউ বলে আপনারা দায়ি তবে তাদের কি বলা যায়। আপনি বলুন।

'দারিদ্র, কুশিক্ষা আর মহান ধর্মের মতলবী ব্যাখ্যা' আপনি বললেন দারিদ্র আর কুশিক্ষা আপনি ইসলামকে পছন্দ না করেন তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু এই শিক্ষাকে কুশিক্ষা বলার অধিকার আপনার নাই। কারণ আপনি কোনোদিন সেই শিক্ষা গ্রহণ করেননি। আপনি বুঝবেন না। সেই শিক্ষার হাকিকত। আপনি যে শিক্ষা পেয়েছেন আমিও সেই শিক্ষা পেয়েছি। সেই শিক্ষার সাথে এই শিক্ষার কোনোই মিল নেই। দুনিয়াবী কামিয়াবীর জন্য তারা এ শিক্ষায় শিক্ষত হয় না। তারা তো বলেই আখেরাতের সম্বল অর্জনের জন্যই তাদের শিক্ষা। আপনাকে তো এ শিক্ষা গ্রহণে বাধ্য করেনি। আপনি কেনো বাধ্য করবেন তাদেরকে আপনার শিক্ষায় দিক্ষীত করতে। তাদের কাছে তো আপনার শিক্ষাই কুশিক্ষা। যেখানে অপরাধীই তৈরি করে। মানুষ তৈরি করে না। অবশ্যই মতলবী ব্যাখ্যা। তারা আখেরাতকে পেতেই আখেরাতের মতলবী ব্যাখ্যা হাজির করে। আপনি দুনিয়া পেতে দুনিয়াবি মতলবী ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হন।

কথামালা-দুই
মাদ্রাসার বাচ্চাদের কথা আমাদের ভাবতে হবে
???????????????????????????????????????????????????????????????????????????
বেহেশতের টিকেট কেনার বাজে ওয়াজে প্রলুব্ধ হয়ে অনেক মা-বাপই বাচ্চাদের মাদ্রাসার কাছে তুলে দিচ্ছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা ভবিষ্যৎ কী? মানে ওখানে পড়ে বাচ্চারা কী হবে? হয় মসজিদের ইমাম, মোয়াজজিন, মসজিদের চাঁদা সংগ্রহকারী বা হতাশ-জঙ্গী? না। ওদের মূলধারার বাইরে রাখা চলবে না। মাদ্রাসার পড়াশোনায় যুগ-উপযোগী বিষয় যেমন কম্পিউটার, কারিগরি বিষয়সমূহ যুক্ত করে তদের কর্ম-উপযোগী করতেই হবে। সরকারী-বেসরকারী বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে যাতে তারা কাজ পায সেই ব্যবস্থা করতেই হবে। কলকাতার মাদ্রাসাগুলো অনেক উন্নত পাঠক্রমে চলছে। চোখ বন্ধ করে রাখলে তুফান বন্ধ হয় না।
আমাদের ভাবতে হবে। ছি ছি করলে সমস্যার সমাধান হবে না।

কথামালা-দুই জবাব
আপনি যখন বলেন 'মাদ্রাসার বাচ্চাদের কথা আমাদের ভাবতে হবে' তখন আমার চোখ খুশির ঝিলিক দিয়ে ওঠে। ভাবতে থাকি আরো একজন হয়তো মাদরাসার বাচ্চাদের জন্য হৃদয় খুলে এগিয়ে এলো।না, পরের ছবকে এসেই আমার আমার চোখ চরকগাছে। এতো দেখি অন্য কথা। ঐ যে আগে বলেছিলেন না মতলবি ব্যাখা। এখানে এসে সেই কথা আসল মর্ম উদ্ধার হলো। অতপর আমি বুঝতে পালাম মতলবটা কি তা পরেই বলছি। আগে আসি প্রথম ছবকে।

'বেহেশতের টিকেট কেনার বাজে ওয়াজে প্রলুব্ধ হয়ে অনেক মা-বাপই বাচ্চাদের মাদ্রাসার কাছে তুলে দিচ্ছেন।' বেহেশতের টিকেট কেনার বাজে ওয়াজ বলেছেন। যারা মুসলমান তাদের তো মঞ্জিল থাকে বেহেশতের দিকে। তারা তার টিকেটই কিনবেন। যারা অন্য কোথাও যারার চিন্তা করে তারা সেখানেরই টিকেট কিনবে। যেমন আমি রাজশাহী যাবো আমি কিন্তু বগুড়ার টিকেট কিনবো না। আমি রাজশাহীর টিকেই কিনবো। অতএব এটাকে বাজে বলে আপনি ইসলাম বিরোধী তার প্রমাণ করলেন আবারও। যদিও আপনি নাস্তিক কি না তা আমার জানার কথা নয়। আর নাস্তিক হলে কোনো আস্তিকের তা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেমন কেউ হিন্দু হলে মুসলমান তার সমস্যা নয়। কেউ মুসলমান হলে হিন্দু তার সমস্যা নয়। সমস্য হয় তখন কেউ যদি নাস্তিক নামে মুসলমান নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বা নাস্তিক নামে হিন্দু নামে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ ঘোষণা করে। বা তাদের সমালোচনা করে। একটা কথা আছে না 'শাসন করে সে সোহাগ করে যে।' অতএব আপনি যখন ইসলাম, হিন্দু বা নাস্তিক হন তখনই সেইটার বিষয়ে কথা বলবেন।
বেহেস্তের টিটেক বিষয়ে আল কুরআন ও আল হাদিসের বয়ান :
“আল্লাহ ক্রয় করেছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মুল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে উৎকৃষ্ট জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর জন্য; অতপর হত্যা করে এবং হত হয়, তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরানের এই প্রতিশ্রুতিতে আল্লাহ অবিচল এবং আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক?” কোরান ৯:১১১
আবু হুরায়রা বর্ণনা করেছেন, “আমি শুনেছি আল্লাহর রসুল বলেছেন উৎকৃষ্ট মুজাহিদের মর্যাদা একজন ভাল রোজাদার এবং নামাজী যে দিন রাত আল্লাহর উপাসনায়  ব্যস্ত থাকে তার চেয়ে ও বেশী হয়। আল্লহ গ্যারান্টি রাখে তার জন্য যাতে মৃত্যু হলে সে বেহেস্তে স্থান পায়; অথবা বেঁচে থাকলে গনিমতের মাল নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে।” সহি বুখারী# ৪৬, ভলিউম ৪, বুক- ৫২:
আবু আন্নাস বর্ণনা করেন, “নবী (সাঃ) বলেছেন-মাত্র একবার আল্লাহর নামে সকাল বা বিকালে জিহাদে অংশগ্রহন করার সওয়াব পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার চেয়েও অনেক মূল্যবান হবে। বেহেস্তের একটুকরা অংশ সারা পৃথিবীর চেয়েও শ্র্রেষ্ঠ হবে। আর যদি বেহেস্ত থেকে একজন হুরী পৃথিবীতে নেমে আসে তাহলে তার শরীরের সুগন্ধিতে সমস্ত পৃথিবী ভরে যাবে এবং হুরীর হিজাবের মূল্য এ নশ্বর পৃথিবীর সবকিছু থেকে বেশী মূল্যবান হবে।” সহি বুখারী ৪/৫২/৪৮
আল-মিকদাম-বি-মাদিকারিব বর্ণনা করেছেন, একদা রসুলুল্লাহ বলেন-শহীদেরা আল্লাহ’র কাছ থকে ছয়টি ভাল জিনিষ লাভ করেঃ (১) প্রথম ফোটা রক্ত ঝরতেই তার সমস্ত পাপ মোচন হয়ে যায়, (২) তাকে তখনি  বেহেস্ত দেখানো হয় (৩) তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করা হয় (৪) তাকে ভয়ংকর ত্রাস থেকে রক্ষা করা হয় (৫) তার মাথায় দামী মুকুট পরানো হয় যার মাঝে খচিত থাকে রুবী যার মূল্য এই পৃথিবীর চেয়েও বেশী মূল্যবান এবং (৬) তাকে বিবাহ দেওয়া হয় ৭২টি সুন্দরী হুরের সঙ্গে যাদের ডাগর ডাগর কালো চোখ থাকে এবং তার সত্তুরজন আত্মীয়কে বেহেস্তে স্থান  দেওয়া হয়।’’ মিঁশকাত-আল-মাসাবিহ ১:৮১৪
'মাদ্রাসা শিক্ষা ভবিষ্যৎ কী? মানে ওখানে পড়ে বাচ্চারা কী হবে? হয় মসজিদের ইমাম, মোয়াজজিন, মসজিদের চাঁদা সংগ্রহকারী বা হতাশ-জঙ্গী?' মাদরাসা শিক্ষা ভবিষ্যৎ চিন্তা করছেন ভালো ভালো। কিন্তু আপনাকে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আগে জানতে হবে। তারা কি দুনিয়াতে চাকরগীরি করার জন্য পড়া লেখা করে না কি অন্য কিছু। তারা নৈতিক শিক্ষা অর্জন করে। যা করে মানুষ হওয়া যায়। মোমেন হওয়া যায়। আমি আপনি যে শিক্ষা গ্রহণ করেছি তা দিয়ে কি করেছি চাকুরী। আধুনিক দাস। আমরা আগে সম্পূর্ণভাবে দাস ছিলাম। দাসের কোনো কথা ছিলো না। মালিক যা বলতো আমরা তাই করতে বাধ্য ছিলাম। আর এখন আমি দাস হবো ৮ ঘন্টার জন্য এবঙ যার কাছে ইচ্ছে তার কাছে বিকি যাবো। অতএব বাচ্চারা ওখানে পড়ে কি হবে আপনার মতো আমার মতো চাকর নয় তারা হবে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ। কবিগুরুর কথা মনে হলো আমরা সেই রকম 'রেখেছো বাঙালী করে মানুষ করোনি।' আমরা চাকর হয়েছি মানুষ তো হয়নি।

মসজিদের ইমাম, মোয়াজজিন হওয়াতো সম্মানের বিষয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম বা এখনও যখন ছেলে মেয়ের বাপ হয়েগেছি তখন একজন হুজুর দেখলে সম্মানের সহিত সালাম দেই। আদবের সাথে কথা বলি। শুধু আমি বা আমরা নই বয়স্ক মানুষও তাদেরকে সম্মান করেন। মসজিদের চাঁদা সংগ্রহকারী, কে না চাঁদা সংগ্রহ করে। বিভিন্ন কাজে আমরা করিনি। যারা সাহিত্য করি। ছোটকাগজগুলো আমরা চাঁদা তুলেইতো করে থাকি। আর সরকার যে চাঁদা তুলে যার নাম টেক্স। সেই চাঁদার টাকায় আপনার বেতন হয়। এই চাঁদার টাকা না হলে আপনাকে না খেয়ে থাকতে হবে। আমাকে না খেয়ে থাকতে হবে। আর হলো হতাশ-জঙ্গী। আপনি দেখান মাদরাসায় পড়েছে একজন যুবকও বেকার আছে। নাই।তারা কিছু না কিছু করেই খায়। যারা আধুন শিক্ষায় শিক্ষিত তারা বেকার থাকি। যারা বেকার থাকে তারাই হতাশ হয় জঙ্গী হয় চরমপন্থি হয়। কিন্তু আপনি সেই অনুপাতে হিসাব করলে তো তাদের অবস্থান শূন্যের কোঠায়। আমার জানা মতে অনেক মাদরাসার ছাত্র দেখছি। যারা কোনো না কোনো কাজ করে থাকে। যদিও তারা টাকার কাঙ্গালন নয়। অর্থ পিচাস তো আমরা হই। আমাদের সার্টিফিকে অর্জনের লক্ষ্যই থাকে অর্থ উপর্যান। তাইতো ডাক্তারির মতো মহান পেশার লোকরাও অমানুষ হয়ে যায়।

'ওদের মূলধারার বাইরে রাখা চলবে না। মাদ্রাসার পড়াশোনায় যুগ-উপযোগী বিষয় যেমন কম্পিউটার, কারিগরি বিষয়সমূহ যুক্ত করে তদের কর্ম-উপযোগী করতেই হবে। সরকারী-বেসরকারী বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে যাতে তারা কাজ পায সেই ব্যবস্থা করতেই হবে।' ওদের মূলধারার বাইরে রাখা চলবে না বলেছেন, কেনো? কারণ আমি যেমন আমি তেমনি চাই। আমি চাকর তাই আমি আরও একজন চাকর চাই। আমি একজনকে দেহঅসারনীদের সংখ্যা বাড়ে কিভাবে এমন প্রশ্ন করি তিনি সুন্দর একটি উত্তর দিলেন, তিনি বললেন, তুমি যেমন চাও তোমার এক বন্ধু তোমার মতো সাহিত্য চর্চা করুক। তেমনি তারাও চায় তাদের দলে একজন আসুক আর এভাবেই তারা তাদের সংখ্যা বাড়ায়। আপনিও সেইভবেই চান আপনার মতো একজন চাকর বাড়ুক। তারা কিন্তু কমপিউটার চালাতে জানে। আমি আগেই বলেছি দুনিয়াবি কামিয়াবী হওয়া তাদের মূল লক্ষ্য নয় তাদের মূল লক্ষ্য মানুষ হওয়া। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া। অতএব দুনিয়া নিয়ে তাদের চিন্তা নেই।

কলকাতার মাদ্রাসাগুলো অনেক উন্নত পাঠক্রমে চলছে। চোখ বন্ধ করে রাখলে তুফান বন্ধ হয় না। আমাদের ভাবতে হবে। ছি ছি করলে সমস্যার সমাধান হবে না।
কলকাতার মাদরাসাগুলো অনেক উন্নত পাঠক্রমে চলছে বলে দাবি করেছেন। সেটা কোন মাদরাসা। আলিয়া নাকি কওমী। কওমী মাদরাসাও কয়েক প্রকার। সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বলেন কোন কোন মাদরাসা তাদের পাঠক্রম পরিবর্তন করেছে। কি কি পরিবর্তন করেছ। গড়পরতা কথা কইলে তো হবে না। 'চোখ বন্ধ করে রাখলে তুফান বন্ধ হয় না।' কথা সত্য এখন থেইকা চোখ খোলা রাখুন মাদরাসা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে আন্তরিকতা দিয়ে। তাদের সংস্কার করার জন্য নয়। জানার জন্য। বাইরে থেকে সংস্কার করা যায় না। সংস্কার করতে হলে আগে ভিতরে ঢুকতে হবে। তাদের একজন হতে হবে। সারা জীবন আপনারা তাদের ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করেছেন উপস্থাপনের সংস্কৃতির মাধ্যমে, নাটক গান মঞ্চ চলচ্চিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে। আর নয় এবার তাদেরকে বুঝতে হবে। না হয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলে তুফান বন্ধ হবে না।

ধন্যবাদ সরকার আমীন ভাই আপনার জন্য আজ আমার লিখতে হলো। লেখা বন্ধ করেছিলাম আবার আমার লেখা শুরু হলো। এজন্য অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। ভালো থাকবেন ভাবি ও বাচ্চাদের নিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.