সাহিত্যিক আবদুল হকের কাছে লেখা ফররুখ আহমদের চিঠি-১
বন্ধুবরেষু,
আপনার ৮/৯/৪৭ তারিখে লেখা চিঠি ১২ তারিখে হাতে এল। বর্তমানে কি কারণে আমার পক্ষে কলকাতা যাওয়া অসম্ভব তা আপনি ভাল করেই জানেন। কাফেলা কর্তৃপক্ষের কাছে আমার ৪০ টাকা পাওনা আছে । পেলে আমার যাওয়ায় আপত্তি নেই।
কাফেলার পরিচালকবর্গকে আমি যে চিঠি লিখেছিলাম (যা আপনি পৌঁছে দিয়েছেন) তাতে সেপ্টেম্বরের পূর্বে কাফেলার ভার গ্রহণ করতে আমি অসম্মতি জানিয়েছিলাম। তাদের কাছে আমার ঠিকানা ছিল। এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোন সংবাদ না পাওয়ায় কাফেলায় যোগ দেয়ার কোন কথাই আমার মনে উঠেনি । অথচ ব্যাপারটা বহুদূর গ্রামাঞ্চল পর্যন্তছড়িয়ে পড়েছে যে আমি নতুন পত্রিকা সম্পাদনা করছি। সুদূর পল্লীতেও বর্তমানে পত্রিকার যে প্রকার চাহিদা দেখা যাচ্ছে তা আনন্দদায়ক।
সুতরাং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য নতুনভাবে উৎসাহ বোধ করছি। আপনি অনুগ্রহ করে কাফেলা অফিসে গিয়ে তাদের মনোভাব অবগত হতে পারেন। আমার কাছে টাকা পাঠালেই আমি কলকাতা রওয়ানা হতে পারি। অন্যত্র কাগজের অফিসে কাজ করতেও আমার আপত্তি নাই। অকারণে বসে থাকা কষ্টকর। তাড়াতাড়ি চিঠির উত্তর দেবেন।
- ফররুখ
দুর্গাপুর, ১৩/৯/৪৭
আপনার ৮/৯/৪৭ তারিখে লেখা চিঠি ১২ তারিখে হাতে এল। বর্তমানে কি কারণে আমার পক্ষে কলকাতা যাওয়া অসম্ভব তা আপনি ভাল করেই জানেন। কাফেলা কর্তৃপক্ষের কাছে আমার ৪০ টাকা পাওনা আছে । পেলে আমার যাওয়ায় আপত্তি নেই।
কাফেলার পরিচালকবর্গকে আমি যে চিঠি লিখেছিলাম (যা আপনি পৌঁছে দিয়েছেন) তাতে সেপ্টেম্বরের পূর্বে কাফেলার ভার গ্রহণ করতে আমি অসম্মতি জানিয়েছিলাম। তাদের কাছে আমার ঠিকানা ছিল। এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোন সংবাদ না পাওয়ায় কাফেলায় যোগ দেয়ার কোন কথাই আমার মনে উঠেনি । অথচ ব্যাপারটা বহুদূর গ্রামাঞ্চল পর্যন্তছড়িয়ে পড়েছে যে আমি নতুন পত্রিকা সম্পাদনা করছি। সুদূর পল্লীতেও বর্তমানে পত্রিকার যে প্রকার চাহিদা দেখা যাচ্ছে তা আনন্দদায়ক।
সুতরাং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য নতুনভাবে উৎসাহ বোধ করছি। আপনি অনুগ্রহ করে কাফেলা অফিসে গিয়ে তাদের মনোভাব অবগত হতে পারেন। আমার কাছে টাকা পাঠালেই আমি কলকাতা রওয়ানা হতে পারি। অন্যত্র কাগজের অফিসে কাজ করতেও আমার আপত্তি নাই। অকারণে বসে থাকা কষ্টকর। তাড়াতাড়ি চিঠির উত্তর দেবেন।
- ফররুখ
দুর্গাপুর, ১৩/৯/৪৭
কোন মন্তব্য নেই