Header Ads

Header ADS

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ : ভারতের পরাজয় অনিবার্য_আফসার নিজাম

 
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ : ভারতের পরাজয় অনিবার্য
আফসার নিজাম

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ চায় সাম্রজ্যবাদী শক্তি

যুদ্ধা আমরা চাই না। কিন্তু যুদ্ধ ছাড়া শান্তিও সম্ভব নয়। যুদ্ধই আমাদের চুড়ান্ত শান্তির পথে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে। অসুন্দরের বিরুদ্ধে। আমরা এই অসুন্দরকে চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ করতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ একা একাই যুদ্ধ করতে চায়। এতে করে সে ভুল করে বসে। সৃষ্টি হয় সুন্দরে সুন্দরে যুদ্ধ। তৈরি হয় অসুন্দর পরিবেশ। ভারত সেরকমই একটি ভুল করে বসেছে। সে একা অসুন্দরের প্রতি যুদ্ধ করতে গিয়ে সুন্দরকে কালি মাখিয়েছে।
পৃথিবীতে যারা অসুন্দরের রাজত্ব কাময়েম করতে চায় তারাই চায় সুন্দরে সুন্দরে যুদ্ধ। পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধ হোক এটা অনেকেরই কাম্য। তারা চায় এই দুটি দেশ এখনই যুদ্ধে লিপ্ত হোক। কারণ
১. মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যে যুদ্ধ, তার থেকে সরে যাচ্ছে যুদ্ধবাজ ইউরুপ ও আমেরিকা। তাদের একটি নতুন যুদ্ধ ক্ষেত্র প্রয়োজন। সেটা নতুন স্থান হলে ভালো হয়। তাই পাকিস্তান ও ভারত বেছে নিচ্ছে তারা।
২. ভারত পাকিস্তান তথা ভারতীয় উপমহাদেশ এখন তরুণের সংখ্যা বেশি। উন্নত বিশ্বে এখন বৃদ্ধের পরিমাণ বেশি। কার্যতই যে দেশে তরুণ বেশি সে দেশের প্রবৃদ্ধি বেশি। উন্নয়নশীল দেশসমূহ যাতে এই তরুণদের উপর ভর করে উন্নত দেশ পরিণত না হতে পারে তার জন্য উপমহাদেশে একটি যুদ্ধ অনিবার্য।
৩. আমেরিকা ও চিনের মধ্যে যে স্নায়ু যুদ্ধ চলছে তার একটি বাস্তব রূপ প্রয়োজন। সেই জন্যই ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ প্রয়োজন।
৪. মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধ সরে যাওয়ায় যুদ্ধাস্ত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির নতুন ক্ষেত্র হিসেবে পাকিস্তান ও ভারতের একটি যুদ্ধ প্রয়োজন। ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের রেশ ধরে বিচ্ছিন্নবাদীরাও অস্ত্র ক্রয় বাড়িয়ে দেবে। এতে করে যুদ্ধাস্ত্র বাণিজ্য সচল থাকবে।
৫. ইরাক, সিরিয়া, আফগানসহ যেসকল দেশে আমেরিকা দীর্ঘদিন যুদ্ধ করে আসছে। তাদের সুচনীয় পরাজয়কে আড়াল করার জন্য নতুন একটি যুদ্ধ প্রয়োজন। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ঐসকল স্থান থেকে তাদের সরে আসা সহজ হবে। তাই ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ অনিবার্য।

কেনো ভারত পরাজিত হবে

১. অস্ত্র আর জনবল দিয়েই যুদ্ধ জয় করা যায় না। তা আমরা ১৯৭১ সালে দেখতে পেলাম। পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্বপাকিস্তান যুদ্ধ। এই যুদ্ধে শক্তিশালী সেনাবাহিনী নিয়েও পশ্চিম পাকিস্তান সুচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করলো একটি কৃষক জনগোষ্ঠীর কাছে। সৃষ্টি হলো একটি নতুন দেশ। আমেরিকা পরাজয় বরণ করলো ভিয়েতনামের কাছে। রাশিয়া পরাজিত হলো আফগানস্থানের কাছে। এমনকি রৌমারীতে ভারত পরাজিত হলো তাদের তুলনায় প্রায় শক্তিহীন বাংলাদেশের সাথে। এর অন্যতম কারণ তারা যে স্থানে যুদ্ধ করছে তার জনগণ তাদের পক্ষে নেই। জনগণ সেনাদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে। এতে করে তারা আক্রমণের শিকার হয়। আর এরকম ছোট ছোট আক্রমণে বৃহৎশক্তিশালী সেনারা দিশেহারা হয়ে যায়। এক সময় তারা ক্লাস হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ভরত ঠিক এ কারণেই পরাজিত হবে। ভারতের মোট জনগোষ্ঠী ২৫% মুসলমান। এই জনগোষ্ঠী হিন্দু জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে বরাবরই হুমকির শিকার হন। একটু ভুল করলেই তাদের পাকিস্তানী চর সাবস্ত করে। তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবার কথা বলে। এতে করে তারা একটি অপমানজনক অবস্থানে থাকে। কারণ নিজের দেশে নিজে পরবাসী হয়ে বড় হয়। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হলে এসকল জনগোষ্ঠী পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ না করলেও পাকিস্তানীদের প্রতিহত করতে যাবে না। গোপনে হলেও তারা পাকিস্তানীদের সহায়তা করবে। যদি পাকিস্তানীরা জিতে যায় তবে তাদের আর পাকিস্তানী বলে গাল শুনতে হবে না।
২. ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠী এই সুযোগ গ্রহণ করবে। ভারতীয় মূল বাহিনী যখন বহিঃশত্রুর মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকবে তখন স্বাধীনতাকামীরা তাদের স্বাধীনতা আদায়ের সর্বাত্বক শক্তি নিয়োগ করবে। এই সময় পাকিস্তান তাদের টুকনৈতিক কৌশল হিশেবে স্বাধীনতাকমীদের সহযোগিতা ও সমর্থন বৃদ্ধি করবে। এতে করে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
৩. দক্ষিণ এশিয়ায় যেসকল দেশে ভারত সমর্থীত দলগুলো ক্ষমতা আছে তারা ভরতকে সহায়তা করার জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ব। এতে করে ঐসকল দেশে যে প্রভাব পরবে তাতে করে তাদের সমর্থীত দলগুলো ক্ষমতাচুত্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। কারণ যুদ্ধের সুযোগে বিরুধী পক্ষ যুদ্ধের বিরুদ্ধে জন সমর্থন আদায় করে ভারত বিরুদী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারে।
৪. ভারত পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে তালেবান যুদ্ধারা যোগ দেবার সম্ভাবনা প্রায় ১০০%। কারণ বর্তমান আফগান সরকারকে ভারত সমর্থ দিয়ে তালেবানদের বিরাগভাজন হয় আছে। তাদের প্রতিশোধ গ্রহণের এই সুযোগ হয়তো তালেবান হাত ছাড়া করবে না। এতে করে ভারত শুধু পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করবে না সাথে সাথে আফগানের সাথেও যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে।
৫. বাংলাদেশের কিছু পাকিস্তানী সমর্থক এই যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ জ্ঞান করে, এবং বার্মার রোহীঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু যুদ্ধা এই যুদ্ধে জড়িয় পড়তে পারে। এতে করে চর্তুমুখি যুদ্ধ শুরু হবে। যা সামাল দেয়ার মতো সামর্থ ভারতের নেই বললেই চলে।
৬. আফগানস্থানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার থেকেই তারা যুদ্ধের ময়দানে হাজির আছে। এই দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তারা কাজে লাগাবে। অপর দিকে ভারতের বাস্তব যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এখান থেকে ভারত পিছিয়ে আছে। এ কারণে ভারত হেরে যাবে। পাকিস্তান জিতে যাবে।

এই সকল বিসয়গুলোকে বিশ্লেষণ করলে অনুধাবন করতে পারি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে ভারতের কোনই ফায়দা নেই। ভাতর ভেঙ্গে গেলে সবচেয় সমস্যায় পড়বে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ তাদের একটি মাত্র ধর্মভিত্তক রাষ্ট্র। আর তা হলো ভারত। এই ধর্মের প্রয়োজনেই তাদের ভারত প্রয়োজন। তাই ভারতের উচিৎ এ মূহূর্তে যুদ্ধের কথা চিন্তা না করে আলোচনা দিকে সরে আসা। এতে করে সবাই কল্যাণ হবে।

পাকিস্তানীদের হারাবার কিছু নেই

১. পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে কোনো স্থানকে কেন্দ্র করে নয়। তারা একটি ধর্মকে কেন্দ্র করে গঠন হয়েছে। অতএব তাদের যদি দেশ ধ্বংস হয়ে যায় তাতেও কিছু যায় আসে না। কারণ তাদের কাছে দেশের চেয়ে ধর্ম অনেক বড়। দেশ শেষ হলেও আরো ৪৯টি দেশ রয়ে যায়। এগুলো তাদের ধর্মের মানুষ পরিচালিত করে আসছে। সেখানে তাদের কিছু না কিছু সুযোগ গ্রহণে জায়গা আছে। যেখানে ভারতের কিছু নেই।
২. পাকিস্তানের জনবসিত অল্প হওয়ায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। এতে করে তারা ছড়িয়ে ছিটয়ে পরে নিজেদের রক্ষা করবে।
৩. পাকিস্তানিরা নিজ ধর্মের দেশগুলোতে পালিয়ে যাবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। আবার ফিরে আসবে। যুদ্ধ করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.