Header Ads

Header ADS

চলচ্চিত্র নির্মাণ অনুদানের আগের প্রেক্ষাপট নির্মাণ অনুদান প্রয়োজন_নিঝুম রুবিনা


চলচ্চিত্র নির্মাণ অনুদানের আগের প্রেক্ষাপট নির্মাণ অনুদান প্রয়োজন
নিঝুম রুবিনা

বাংলা চলচ্চিত্র নব্বই দশকে এসে একটি হোচট খায়। মেধাবী অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভাবে অনেকবারই চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থ্যার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কিন্তু তার ফল বেশি একটি ভালো হয়নি।
যদিও মান্নার মতো জনপ্রিয় অভিনেতা এখান থেকেই উঠে এসেছে। বর্তমানেও চৌকস অভিনেতা অভিনেত্রীর অভাব চলচ্চিত্র পরিচালকবৃন্দ অনুধাবন করছেন। 
ঠিক সেই সময় নাট্যজগত ও বিজ্ঞাপনের মেধাবী মডেলরা এসে চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করছে। ঠিক তেমনি একজন সফল মডেল নিঝুম রুবিনা। মিডিয়া জগতে যার আগম ঘটেছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। গ্রামীন ফোনের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা যায় সেই ২০০৯ সালে। তারপর আর পিছন ফিরে তাকানোর সময় হয়নি। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি এখন পুরোপরি মনোযোগ দিয়েছেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দিকে। 
নিঝুম প্রথম চলচ্চিত্রেই নতুন ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তার প্রথম চলচ্চিত্র “এর বেশী ভালোবাসা যায় না” ছবিতে তিনি দর্শকের মনের গহীনে স্থান করে নিয়েছেন। চলচ্চিত্রটি যেমন জনপ্রিয় হয়েছে তেমনি তার অভিনয় মুগ্ধ দর্শক। “বাংলা চলচ্চিত্র দেখা যায় না। অভিনয় হয় না” বলে আজ যারা মুখ ফিরেয়ে নিয়েছেন তাদের প্রতি নতুন আবেদন সৃষ্টি করেছ। গ্লামার নির্ভর এই ছবিতে নিঝুম দারুনভাবে তার গ্লামার ফুটিয়ে তুলেছে। এই ছবিটি জাকির হোসেন রাজুর নির্দেশনায় কিবরিয়া ফিল্মসের ব্যানারে মুক্তি পায়।
এই চলচ্চিত্র নিঝুমের প্রথম রিলজ চলচ্চিত্র হলেও তার প্রথম অভিনিত চলচ্চিত্র “কিস্তির জ্বালা” নুর মোহাম্মদ মনির নিদের্শনায় ছবিটি ড্রিমওয়ের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে কাজ করছে নাদিম। এছাড়া নিঝুমের আবুল কালাম আজাদ-এর পরিচালনায় এটিএন বাংলা মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন থেকে রেব হচ্ছে সামাজিক জটিলতা নির্ভর চলচ্চিত্র “আনেক সাধনার পরে”। এখানে নিঝুমের বিপরীতে অভিনয় করছেন শান্ত। চলচ্চিত্রটি শুটিং শেষে ডাবিং এ আছে। ঈদের পরে নিঝুম অভিনীত “অনেক সাধনার পরে” ও “ কিস্তির জ্বালা” চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পাবে। - আফসার নিজাম

আফসার নিজাম : বাংলা চলচ্চিত্রকে উন্নত করতে হলে কি করতে হবে?
নিঝুম রুবিনা : বাংলা চলচ্চিত্রকে উন্নত করতে হলে মেধাবীদের খুঁজে বের করতে হবে। সরকারকে এই কাজটি করতে হবে। চলচ্চিত্রে অনুদান দিতে হবে। এই শিল্পকে একটি শিল্প হিসেবে দেখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সকল দিক থেকে সহযোগিতা করতে হবে। এখানে একটি বিষয় খুব বিস্ময়কর। সরকার কিছু চলচ্চিত্রকে অনুদান দিলেও যেখানে বসে দর্শক ঘন্টার পর ঘন্টা ছবি উপভোগ করবে সেখানে কোনো অনুদান নেই। সরকার দর্শকদের জন্য কিছু করছে না। আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দর্শক এতো কষ্ট করে আমাদের ছবি দেখে। কিভাবে হলের ভেতর তারা ৩ঘন্টা বসে থাকে। তারা কতোটা ভালোবাসে আমাদের চলচ্চিত্রকে। এটা বুঝতে হবে। সব হচ্ছে, হলের উন্নয় হচ্ছে না। সরকারের উচিত আগে হলগুলো উন্নয়নে অনুদান দেয়া। তারপর চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য অনুদান দেয়া। তবেই চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে।


আফসার নিজাম : বিদেশী ছবি আমদানীতে আপনার মতামত কি?
নিঝুম রুবিনা : বিদেশীদের পরিবেশের সাথে আমাদের দর্শকদের সম্পর্ক নাই। হয়তো তারা প্রথম প্রথম কিছুটা সাফল্য পাবে কিন্তু আলটিমেটাম আমাদের দর্শক আমাদেরই। এখানে অন্য ছবি চলবে না। আমাদের ভাষা, আমাদের পোষাক, আমাদের গল্প, আমাদের নৃত্য ওদের থেকে ভিন্ন। আর আমরা যদি নতুন করে আমাদেরই প্রদর্শন করতে পারি তবেই বিদেশীদের রুখতে পারবো।

আফসার নিজাম : বিদেশী ছবির অনুরূপ ছবি করছি কেনো?
নিঝুম রুবিনা : আমাদের দেশের প্রযোজক, পরিচালক ঝুকি নিতে চায় না। তারা নতুন একটি গল্পে যেতে চায় না। যদি সেখানে অভিনেতা অভিনেত্রী নিজেকে খাপ খাওয়াতে না পারে। আমাদের দেশে অনেক নামি দামী লেখক আছে, তাদের থেকে গল্প নিতে হবে। নতুনদের থেকে গল্প আহবান করতে হবে। তবেই আমাদের দেশের ছবি হবে আমাদের মতো। তখন কেউ নকল বলতে পারবে না। লেখকের কাজ হলো লেখা। পরিচালকের কাজ হলো পরিচালনা করা আর অভিনেতাদের কাজ হলো অভিনয় করা। একজনই যদি সব করতে যায় তবে কিছুই হবে না। নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। নতুনদের অভিনয়ে জায়গা করে দিলেও লেখক হিসেবে সেই জায়গা হয় না। আর এই কাজটি সরকার করলে বেশি ভালো হয়।

আফসার নিজাম : চলচ্চিত্রের উপর লেখা পড়া করা প্রয়োজন কি না।
নিঝুম রুবিনা : হ্যাঁ আমাদের চলচ্চিত্রকে উন্নয়ন করতে চাইলে শিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। পিএইডি, এমফিল করা লোক প্রয়োজন। আমাদের চলচ্চিত্রে শিক্ষিত লোক আসছে। একটা সময় ছিলো যখন মানুষ দেখে দেখে শিখে ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করা ভার গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশে এখন আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করছে। আমরা সেইভাবেই কাজ করছি। আমরা স্বচ্চন্দ বোধ করছি।

আফসার নিজাম : কারা কারা চলচ্চিত্রকে আধুনিকায়ন করছে বলে মনে করেন?
নিঝুম রুবিনা : অনেকেই করছে। যেমন জাজ ফিল্ম, সোহনুর রহমান সোহানসহ আরো অনেকেই। তারা বাংলা ফিল্মকে আধুনিক করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাথে সাথে বিদেশ থেকে আধুনিক মেশিন এনে, লোক এনে এইসব মেশিন চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। আগামীতে দেখবেন আমাদের দেশও ইন্ডিয়ার মতো সমৃদ্ধশালী চলচ্চিত্র ইন্ডস্ট্রিতে পরিণত হবে।

আফসার নিজাম : ইন্ডিয়াতে অনেক ভাষা, কোন ভাষায় ছবি সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
নিঝুম রুবিনা : ইন্ডিয়াতে তামিল ছবি হলো বস। তামিল ছবিই সবাই নকল করে। তাদের ডান্স, তাদের গল্প, তাদের গান। ইন্ডিয়াতে হিন্দি ও বাংলাভাষীরাও নকল করে। আমরা তো করিই। তবে চেষ্টা চলছে আমাদের তার থেকে বের হয়ে আসার।

আফসার নিজাম : আপনি কেমন চলচ্চিত্র স্বপ্ন দেখেন?
নিঝুম রুবিনা : আমি এমন চলচ্চিত্র স্বপ্ন দেখি। সে ছবি দেখার জন্য দর্শক পূর্ণ থাকবে হল। একটি ছবি রিলিজ হলে তাকে নিয়ে গসিপ হবে। আর হলগুলো এমন হবে দর্শক আনন্দের সাথে ৩ ঘন্টা পার করে দেবে। আমাদের চলচ্চিত্রকে একটি ইনন্ডাট্রি হিসেবে দেখতে চাই। এটা হবে হলিউড, বলিউডের মতো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.