সাংস্কৃতিক উৎকর্ষসাধনে বিরোধী পক্ষের কর্মতৎপরতা ও ইসলামিপ্রেমিকদের করণীয়_আফসার নিজাম
সাংস্কৃতিক উৎকর্ষসাধনে
বিরোধী পক্ষের কর্মতৎপরতা ও ইসলামিপ্রেমিকদের
করণীয়
আফসার নিজাম
সংস্কৃতি হলো জীবনাচরণ। বৃহত্তর দৃষ্টিতে মানুষের
মানবিক কর্মকান্ডই সংস্কৃতি। কিন্তু আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় সংস্কৃতি উপস্থাপনের কৌশলগুলোকে
ভিন্নভাবে দেখা হয়ে থাকে। যাকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বলে অভিহিত করা হয়। পাশ্চাত্যে
তাকে পার্ফমিং আর্ট হিশেবে দেখা হয়। বাংলা যার প্রকৃত অর্থ দাঁড়ার উপস্থাপনের সংস্কৃতি।
তথ্যপ্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার যুগে উপস্থাপনের সংস্কৃতিকে একটি অস্ত্র হিশেবেও দেখা
হয়। যাকে মোটাদাগে বলা হয়ে থাকে কালচারাল এ্যাটাক বা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অথবা কালচারাল
রেভ্যুলেশন বা সাংস্কৃতিক বিপ্লব।
প্রকৃতপক্ষে সাংস্কৃতিক আগ্রাসণ হয় না বলে আমরা
মনে করি। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হলো উপস্থাপনের সংস্কৃতি। একটি নৃ-গোষ্ঠী তাদের জীবনাচরণ
উপস্থাপন করে থাকে ভিন্ন ভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের কাছে। যা সামষ্ঠিকভাবে একটি নগর
রাষ্ট্রে এসে উপস্থিত হয়। যে নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি যতো শক্তিশালী হিশেবে উপস্থাপন হয়,
সে নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে নগর রাষ্ট্রের জনসাধারন ততো বেশি গ্রহণ করে থাকে। এখানে একটি
নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি থেকে অন্য একটি নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি অথবা দুই ও ততোধিক সংস্কৃতি
মিলিত হয়ে জাতীয় সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়।
আমরা এখানে একটি উদাহরণ উপস্থিত করতে পারি। সুদূর
আরব থেকে ইসলাম পারস্য হয়ে উপ-মহাদেশে আসে। এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ইসলামি সংস্কৃতি মাঝ
পথে পারস্য পরিবর্তন সাধন করে। আরবের সংস্কৃতি পারস্য সংস্কৃতি থেকে কিছুটা মৃয়মান
বলে প্রতিয়মান হয়। সে কারণে আমরা উপমহাদেশের মানুষ ধর্ম নিয়েছি আরব থেকে কিন্তু সংস্কৃতি
নিয়েছি পারস্য থেকে।
পারস্য যে কাজটি করেছে তাহলো তাদের ইসলাম গ্রহণ
করার পর তারা তাদের সংস্কৃতিকে ইসলামাইজেশন করে নিয়েছে। যেখানে পৌত্তলিকতা আছে সেখানে
এক আল্লাহ নিয়ে নিয়েছেন। ইসলামের সাথে যা সামঞ্জস্য আছে তা রেখে দিয়েছে আর ইসলামের
সাথে যা সাংঘর্ষিক তা ফেলে দিয়েছে। আর এভাবেই ইসলামে সাথে স্থানীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন
তৈরি করে ইসলাম প্রাকৃতজনের হয়ে সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ শিক্ষাটি ইসলামি বুদ্ধিজীবীরা
গ্রহণ করেছেন হযরত মোহাম্মদ সা.-এর থেকে। ‘রসুল সা. আরবে যে অঞ্চলে যেতেন সেই অঞ্চলের
আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে তাদের ইসলামের পথে দাওয়াত দিতেন।’
ইসলাম যখন বাংলায় প্রবেশ করে তখন ইসলাম প্রচাররকরা
ইসলামকে বা ইসলামি সংস্কৃতিকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতেন না। বরং তাদের উন্নত চরিত্র
ও সর্ব সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা প্রকাশ করেছে। বাংলার মানুষ ভাটি অঞ্চলের। তারা গান গাইতে
ভালোবাসতেন। ইসলাম প্রচারকরা শুধু ঐসব গানের সাথে ইসলামিক ইতিহাস ঐহিত্যকে প্রতিস্থাপন
করতেন। সেজন্য বাংলার জারি-সারি, ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া, পালাগান, কবিতা আবৃত্তি/পুঁথিপাঠ,
গান, গজল, ওয়াজ-মাহফিল, বাহাজ প্রচলিত হয়। এগুলো সবই উপস্থাপনের সংস্কৃতি/পার্ফমিং
আর্ট/সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড।
কালের বিবর্তনে এইসব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিলিন
হয়ে যায়নি। বরঞ্চ টেকনোলজির উন্নতির কারণে এগুলো হয়ে ওঠেছে সম্প্রসারণবাদীদের হাতিয়ার,
বিভিন্ন মতাদর্শেরও হাতিয়ার। নিজেদের মতাদর্শ খুবই সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে
এর কল্যাণে।
খ্রীস্টান শাসিত বৃটিশ ভারতে সর্বপ্রথম যখন এইচএমভি
কলেরগান নিয়ে আসলো। তখন এ কলের গানে বাজতো বিভিন্ন প্রেমের ও হিন্দুয়ানী গান। জাতীয়
কবি কাজী নজরুল ইসলাম সর্বপ্রথম কলেরগানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে। এ গান বেজে ওঠলে
সারা ভারতে মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের পূর্নজাগরণে নতুন এক লক্ষ্য প্রকাশিত হয়। এইচএমভি
প্রোডাকশন তাদের ব্যবসার খাতিরেই ইসলামি গান বাজারজাত করতে থাকে। আর রচিত হতে থাকে
একের পর এক ইসলামি গান। ঐসময় বিখ্যাত হিন্দু শিল্পীরাও মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামি গান
গাইতেন। আর যখন বাংলা রেডিও স্থাপন হয় তখন রেডিওতে আজান প্রচার করা হয়। ‘রেডিওতে প্রথম
আজান দেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।’ এটাই হলো উপস্থাপনের সংস্কৃতি। একটি
জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে সুন্দর মাধুর্যময়ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে সমাজের সকল জনসাধারন
তা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। এটাইকেই বলা হয় কালচারাল রেভ্যুলেশন। ভিন্ন ভাবে বললে হয় সাংস্কৃতিক
আগ্রাসন।
আমরা এতোক্ষণ একটি নাতিদীর্ঘ ভূমিকা উপস্থাপন করলাম
এজন্য যে বাংলায় প্রায় তিনটি ভাগে বিভাজিত হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
একে অপরের সাথে মোকবেলা করে টিকে থাকতে চেষ্টা করছে। এরা হলো ১. ইসলামি সংস্কৃতি ২.
পৌত্তলিক সংস্কৃতি ৩. নাস্তিক্য সংস্কৃতি। আদর্শিক হিশেবে এই তিনটি সংস্কৃতিই বাংলায়
রাজত্ব করে যাচ্ছে। ইসলামি সংস্কৃতি একা হলেও পৌত্তলিক ও নাস্তিক্য সংস্কৃতি যৌথ হয়ে
লড়াই করে ইসলামি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। কারণ নাস্তিক্যবাদীদের আদর্শ থাকলেও তাদের কোনো
সংস্কৃতি আজও তৈরি হয়নি। তাই তারা পৌত্তলিক সংস্কৃতিকে ধারণ করেই নিজেদের আদর্শ প্রচার
করে থাকে। আর পৌত্তলিকদের কোনো আদর্শ না থাকলেও তাদের আছে দীর্ঘ দিনের পৌরানিক সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্য। অন্যদিকে ইসলাম নিজে যেমন আদর্শ তেমনি তাদের সংস্কৃতিও নির্মাণ করেছে আদর্শকে
কেন্দ্র করে এ কারণে ইসলামকে অন্যের কাছে ধার করতে যেতে হয় না। ইসলামের আরো একটি ঔধার্য্য
হলো যে কোনো কল্যাণমূলক কর্মকান্ড ইসলাম অনুমোদন করে। যদি না তা ইবাদতের বিষয় হয়। এতে
করে ইসলামের কাজের ভলিওম অন্য যে কোনো সংস্কৃতির থেকে বেশি হয়ে থাকে। এতে করে ইসলাম
বহির্ভূত কেনো সংস্কৃতি তার সাথে মোকাবেলায় পরাভূত হয়। একটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবেÑ
‘হযরত মোহাম্মদ সা. যখন ইয়াস্রিফ (মদীনা) যান। তখন দেখতে পান এ অঞ্চলের মানুষ দুটি
বড় মেলা করেন। যার মধ্যে পৌত্তলিকতা আছে তখন তিনি সা. বলেনÑ আল্লাহ যদি তোমাদের জন্য
এর থেকেও সুন্দর আনন্দপূর্ণ দুটি উৎসব দান করে তাহলে তা গ্রহণ করবে না। সবাই বলল হ্যাঁ
গ্রহণ করবো। তখন তিনি সা. বলেন আল্লাহ তোমাদের জন্য দুটি উৎসব দান করেছেন একটি হলো
ঈদ-উল-ফিতর আর অন্যটি হলো ঈদ-উল-আজহা। এর থেকে বুঝা যা মানুষ অকল্যাণ কোনো কিছু গ্রহণ
করলে কল্যাণকর কিছু দিয়ে তাকে জয় করতে হয়। বন্ধ করে দিয়ে নয়।
ইসলাম বর্হিভূত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনাকারী
প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো যেভাবে কাজ করে বা যে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে তার একটি তালিকা
তৈরি করা হলো। প্রয়োজনে আরো গবেষণা করে পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করা হবে এবং তার মোকাবেলায়
কি কি কাজ করা যায় তার একটি রূপরেখাও তৈরি করা হলো।
ক্রম
|
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন যা করে
|
ইমলামপ্রীয় করণীয়
|
||||
১
|
সেমিনার সিম্পোজিয়াম:
সারাদেশে প্রতিদিন তাত্ত্বিক বিষয় আসয় নিয়ে ডজন খানেক সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে থাকে। এর মাধ্যমে নতুন নতুন চিন্তাধারা, উদ্ভাবন ইত্যাকার বিষয় ওঠে আসে। তৈরি হয় নতুন স্কলার।
|
বছরে দুএকটি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করা হয়। যা ওদের তুলনা খুবই কম। গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করে একটি প্রজেক্ট দাঁড় করানো প্রয়োজন। যার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে সেমিনার সিম্পোজিয়াম করা যায়।
|
||||
২
|
জাতীয় দিবস পালন:
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান জাতীয় দিবসগুলো পালন করে থাকে। বিশেষ করে তাদের আদর্শের সাথে যেসব বিষয় সামঞ্জস্য সেইসব দিবসগুলো করে থাকে
|
ইসলামপ্রীয়রাও জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছি। সাথে সাথে ইসলামপ্রীয়রা ঐতিহ্যের সাথে যেসব দিবস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে সেসব দিবসও পালন করি।
|
||||
৩
|
জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন:
বড় কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, অভিনেতাদের জন্মদিন বা মৃত্যু দিনে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, তাদের সৃষ্টি নিয়ে গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করে থাকে।
|
ইসলামপ্রীয়দের আদর্শিক কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, অভিনেতাদের জন্মদিন বা মৃত্যু দিনে তাঁদের কর্মের স্মীকৃতি ও অবদান স্মরণে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, তাদের সৃষ্টি নিয়ে গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করে থাকি।
|
||||
৪
|
সংগীতানুষ্ঠান:
তারা প্রায় আঞ্চলিক, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যেখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীরা উপস্থিত থাকেন।
|
ইসলামপ্রীয় ঢাকা কেন্দ্রীক বছরে দু একবার করে থাকে। সারাবছর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা না বললেই চলে।
|
||||
৫
|
মঞ্চ নাটক:
মঞ্চ নাটক এমন একটি মাধ্যম যা অভিনেতা ও দর্শক খুব কাছাকাছি উপস্থিত হতে পারে। এতে করে নাকটের চরিত্র দর্শকদের মাঝে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। গ্রুপ থিয়েটার-এর আওতায় প্রায় ৫০০ নাট্য সংগঠন আছে। ঢাকা সহ সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় ২০টি নাটক প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য তারা সরকারী শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হল ব্যবহার করেক। নাটকগুলোতে তারা পৌরানীক কাহিনী, কু-সংস্কারের নামে ইসলাম বিরোধী বিষয়গুলোকে উপস্থাপন করে থাকে।
|
ইসলামপ্রীয়রা সারাদেশের সমমনা কোনো নাট্যগ্রুপ নিয়মিতভাবে কোনো নাটক মঞ্চায়ন করে না। মাঝে মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে দু’একটি নাটক করে থাকে। এ ব্যাপানের পূর্ণাঙ্গ নাট্যগ্রুপ তৈরি করে নিয়মিতভাবে নাটক মঞ্চায় করা প্রয়োজন
|
||||
৬
|
নৃত্যানুষ্ঠান:
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হাজার হাজার সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। যারা প্রতিনিয়ত নাচ প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে পৌত্তলিক সংস্কৃতিই উপস্থাপিত হয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের কোনো নাচের বিষয় নেই। নাচের পরিবর্তে ইসলামপ্রীয়রা কোরিওগ্রাফিকে কাজে লাগাতে পারি।
|
||||
৭
|
মাইম:
মাইম একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক মাধ্যম। নিরবভাবে শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়। মাইম প্রশিক্ষণ ও উপস্থাপনের জন্য তাদের প্রায় প্রতিটি জেলায় আছে মাইম সংগঠন।
|
ইসলামপ্রীয়দের কোনো মাইম সংগঠন নেই। নেই কোনো প্রশিক্ষণ নেয়ার বিষয়ও। চট্টগ্রামে কিছু চর্চা করার চেষ্টা পরিক্ষিত হয়েছিলো তাও এখন বন্ধ। বিষয়টি নতুনভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।
|
||||
৮
|
কবিতা আবৃত্তি:
কবিতা আবৃত্তি একটি প্রাচীন শিল্পমাধ্যম। আদিকাল থেকেই মানুষ মানুষকে মুগ্ধ করার মাধ্যম হিশেবে কবিতা ও কবিতা আবৃত্তিকে বেছে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মূলত আবৃত্তি চর্চা করা হয়। ওদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গোটা দশেক আবৃত্তি সংগঠন আছে। যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, আবৃত্তি অনুষ্ঠান ও সিডি ভিসিডি প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে যুবক যুবতীর প্রেমলিলা, নাস্তিক্যবাদী ও পৌত্তলিক বিষয় সম্ভলিত কবিতাগুলোই তারা আবৃত্তি করে থাকে।
|
পবিত্র আল কোরআনে অনেক সুরা যদিও কবিতার মতো করে নাজিল হয়েছে এবং কবি ও কবিতা সম্পর্কে এটি সুরাও নাজিল হয়েছে তবুও ইসলামপ্রীয়রা কবিতা থেকে অনেকটা দূরত্ব বজায় রাখছি। কবিতা আবৃত্তির সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে প্রশিক্ষণ প্রদান করা জরুরী।
|
||||
৯
|
বইপাঠ:
সারাদেশে বিভিন্ন পাঠাগার, সাংস্কৃতিক সংগঠন, এবং শুধু বই ও বইপাঠ নিয়েই একটি বিশাল সংগঠন আছে তাদের। এর মাধ্যমে তাদের আদর্শের বইগুলো পাঠ করিয়ে শিশুকাল থেকেই মগজ ধোলাই করে যাচ্ছে।
|
ইসলামপ্রীয়দের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যার মাধ্যমে বই, বইপাঠ প্রতিযোগিতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। আদর্শিক বাছাইকৃত বই শিশু-কিশোরদের মাধ্যে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
|
||||
১০
|
পাঠচক্র:
সারাদেশে কমিউনিজম আন্দোলন কেন্দ্রীক বিভিন্ন চিন্তুক পাঠচক্র আয়োজন করে থাকে। পাঠচক্রগুলো মূলত পরিচালনা করেন দেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদবৃন্দ। এই পাঠচক্রের মাধ্যমেই মূলত বুদ্ধিজীবী তৈরি করা হয়। যারা পরবর্তীতে ইসলামের বিপক্ষেই কাজ করে যায়।
|
বাংলাদেশের কোনো জায়গাই এক কাজটি করা হয় না। ইসলামি চিন্তাবিদ দুএকজন পাঠচক্র পরিচালনা করতেন তাও বর্তমানে বন্ধ আছে।
|
||||
১১
|
আলোচক তৈরি করা:
বক্তৃতা এমন এক মাধ্যম যা শুনে শ্রতাবৃন্দ আনন্দে উদ্বেলিত হয়, আপ্লুত-আবেগাশ্রিত হয়। যে যতো সুন্দর বক্তৃতা করে তার কথায় মানুষ ততো বেশি উজ্জ্বিবিত হয়। প্রতিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন বক্তৃতার প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
|
বক্তৃতা দেয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। তবে কিছু কিছু অনুষ্ঠানে নতুন নতুন কিছু ব্যক্তিকে আলোচনা করার সুযোগ দেয়া হয়। বক্তৃতা দেয়ার প্রশিক্ষণ কোর্স করা প্রয়োজন।
|
||||
১২
|
চিত্রাঙ্কন:
বিভিন্ন একাডেমির মাধ্যমে চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য চারুকলায় ভর্তি করা হয়। আর চিত্রশিল্পীরাই বেশি পৌত্তলিক সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে থাকে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে তা দেখে থাকি।
|
ইসলামপ্রীয়দের মাঝে চিত্রাঙ্কন শিল্পীদের পরিমাণ দুএকজন ছাড়া চোখে পড়ার মতো নয়। শিশু-কিশোরকাল থেকেই যদি চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা যায় তবে কিছু শিল্পী গড়ে উঠবে।
|
||||
১৩
|
কার্টুন প্রকাশ:
কার্টুন শক্তিশালী ব্যাঙ্গাত্বক চিত্র মাধ্যম। এর মাধ্যমে সমাজের বিকৃতরূপ, রাজনীতিসহ সকল অসঙ্গতি তুলে ধরো হয়। চারুকলার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এই কার্টুন আঁকে। আর চারুকলা ইনিস্টটিউট তাদের লোকবল প্রায় সবাই।
|
ইসলামপ্রীয়দের অল্প কিছু চিত্রশিল্পী আছে তাদের মধ্যে দু’একজন এ শিল্পের সাথে যুক্ত। এই শিল্পীটি বিকাশের প্রতি দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
|
||||
১৪
|
নাট্য প্রশিক্ষণ:
নাট্য মঞ্চায়নকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মূলত নাট্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যবিভাগকে কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণ করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে তারা একটি নাট্যআন্দোলন তৈরি করে মানুষের মননকে নিজেদের মতো করে ব্যাবহার করছে।
|
ইসলামপ্রীয়দের নাট্য বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। ২০০২ সালের দিকে বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র নিয়মিতভাবে নাট্যপ্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতো ফলে এর মাধ্যমে সারাদেশে একটি নাট্য জাগরণ হয়। তা বর্তমানে বন্ধ আছে। নাট্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
|
||||
১৫
|
টেকনিক্যাল কোর্স:
ঢাকা শহরের সরকারী এবং কিছু প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তারা ভিডিও ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, ভিডিও এডিটিং, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টেজ ডেকোরেশনসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের টেকনিক্যাল বিষয়য়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক টেকনিশিয়ান গ্রুপ তৈরি করেছে। প্রয়োজেন তারা ইন্ডিয়াসহ উন্নত বিশ^ থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আনছে। যারা সমস্ত চ্যানেলগুলোতে নেতৃত্ব প্রদান করছে।
|
ইসলামপ্রীয় হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করলেও এখন তা বন্ধ আছে।
|
||||
১৬
|
প্রকাশনী সংস্থা:
সারাদেশে তিন ধরনের প্রকাশনী সংস্থ্যা প্রকাশন কার্যক্রমের মাধ্যমে সেবামূলক বাণিজ্য পরিচালনা করে থাকে। ১. শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকাশনী ২. সৃজনশীল প্রকাশনী ও ৩. ধর্মীয় প্রকাশনী। বুদ্ধিজীবী মহলে প্রভাব বিস্তার করে সৃজনশীল প্রকাশনী। প্রকাশনীর সংখ্যা প্রায় ২,৫০০টি।
|
ইসলামপ্রীয়দের কিছু ধর্মীয় এবং শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকাশনী থাকলেও সৃজনশীল প্রকাশনী মাত্র ৮-১০টি। এ কয়েকটি সৃজনশীল প্রকাশনী সংস্থ্য ৪০ কোটি বাঙালির মননকে কেমন করে পরিবর্তন করবে। তা চিন্তা করা প্রয়োজন।
|
||||
১৭
|
বই প্রকাশ:
বিভিন্ন লেখকদের বিষয় নির্ধারণ করে গল্প উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, ফিচার, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক বই প্রকাশ করা হয়। এতে করে একটি আদর্শের প্রচার ব্যাপকভাবে সমাজে পরিলক্ষিত হয়।
|
এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না। এবং নতুন কোনো বিষয়ের বইও প্রকাশ করা হয়। এখন বিষয়ভিত্তিক সৃজনশীল বই প্রকাশ করা প্রয়োজন।
|
||||
১৮
|
ম্যাগাজিন প্রকাশ:
সারাদেশে কয়েক হাজার সাপ্তাহিক, মাসিক ম্যাগাজিন, সাময়িকী, লিটলম্যাগ প্রকাশ করা হয়। এগুলো মাধ্যমে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তার স্ফুরণ ঘটে সাথে সাথে নতুন লেখকও তৈরি হয়।
|
বছরে ১০-২০টি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। যা নতুন লেখকদের সেখানে সুযোগ তৈরি করতে পারে না। পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন নতুন ম্যাগাজিন প্রকাশ করা প্রয়োজন।
|
||||
১৯
|
বই কেনার প্রজেক্ট:
সৃজনশীল বই প্রকাশ করে প্রকাশনী সংস্থ্যাগুলো সরকার ও বিভিন্ন এনজিও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ক্রয় করে থাকে। মূলত এ প্রকাশনীগুলো ক্রয় করে লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে সাথে সাথে সারাদেশে তাদের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের প্রকাশনীর প্রকাশনা সরকার ও এনজিও ক্রয় করে না। আইবিএফ, ইবনে সিনাসহ দু’একটি প্রতিষ্ঠান আগে ক্রয় করলেও বর্তমান তারা বই কেনা প্রজেক্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে একপ্রাকার আদর্শিক প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
|
||||
২০
|
পুরস্কার প্রদান:
লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবীদের আদর্শিক প্রচার প্রপাগন্ডা এবং সেই অনুযায়ী থিংকার হিশেবে কাজ করার জন্য পুরস্কর প্রদান করা হয়। এতে করে লেখক বুদ্ধিজীবীরা তাদের আদর্শ দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করে তাদের সৃজনী বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর প্রায় শ’খানেক পুরস্কার প্রাদন ও সম্মাননা প্রদান করে থাকে
|
ইসলামপ্রীয়দের মাঝে দু’তিন বছরে দুএকটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের নিজেদের আদর্শিক অবস্থানে দৃঢ় রাখার জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা প্রয়োজন।
|
||||
২১
|
এ্যানিমেশন ফ্লিম:
বাংলাদেশে এ্যানিমেশন কার্যক্রম তেমন ভাবে শুরু না হলেও ব্যাক্তিগতভাবে এবং ৩-৪টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে শিশুদের নাটক, গান, বিজ্ঞাপনগুলোতে এ্যানিমেশন করা হয়। বর্তমানে বাংলায় যে শিশুনাটকগুলো এ্যানিমেশন করা হচ্ছে তা সেকুলার দৃষ্টিভক্তিতে করা।
|
ইসলামপ্রীয়দের অঙ্গনে এখনও এ্যানিমেশনের কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।
|
||||
২২
|
সফ্টওয়ার প্রোডাকশন:
আধুনিক টেকনোলজিকে ব্যাবহার করে মানুষ তার শিক্ষা ও আদর্শের জ্ঞান নিয়ে থাকে। বর্তমানে সফ্টওয়ারের মাধ্যমে বর্ণমালা থেকে শুরু করে শিক্ষামূলক কার্যক্রমের সকল বিষয় শিক্ষা প্রদান করা হয়। সাথে মাল্টিমিডিয়াও পরিবেশিত হচ্ছে।
|
সফ্টওয়ারের মাধ্যমে কিছু প্রোডাকশন বাজারে আছে। যা চাহিদার তুলনা খুবই অপ্রতুল।
|
||||
২৩
|
এনড্রয়েড:
টেকনোলজির অন্যতম ভার্সন হলো মোবাইল এনড্রয়েড। বর্তমানের তরুণ সমাজ এর মধ্যে এতোটাই ইনভল্ভ যে তারা প্রতিনিয়ত এনড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে তাদের বিনোদন, শিক্ষা, সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। এগুলো যদিও বিদেশী তবুও যুগের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম এনড্রয়েড করে দিচ্ছে। যা তাদের আদর্শেরই প্রতিরূপ হিশেবে প্রতিয়মান।
|
ইসলামপ্রীয়দের এনড্রয়েড কার্যক্রম নাই।
|
||||
২৪
|
ওয়েব এ্যাক্টিভিটিভ:
পৃথিবী জুড়ে ওয়েব এ্যাক্টিভিটি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়েব-এ আছে ব্লগিং, ইউটিউব, সামাজিক সাইড, মাল্টিমিডিয়া, পত্রিকা। এইসব মাধ্যমে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম। এবং তাৎক্ষণিক পৌঁছে দিচ্ছে নিজেদের এ্যাক্টিভিটির নিউজ।
|
সামাজিক ওয়েবে উপস্থিতি ও কিছু পরিমাণ ব্লগিং, সামান্য পরিমাণ ইউটিউভ মাল্টিমিডিয়া, কিছু পত্রিকা সচল। নিজস্ব ব্লগ দু’একটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
|
||||
২৫
|
চিত্রগ্যালারী নির্মাণ:
সরকারীসহ বেশকিছু চিত্র গ্যালারি আছে তাদের। যার মাধ্যমে চারুকলার শিক্ষক ছাত্রদের চিত্র প্রদর্শন ও বিক্রয় করে থাকে। এর মাধ্যমে সারাদেশে তাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করার মতো। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখে তাদের ঐসব কর্মকান্ড জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের চিত্র গ্যালারি নাই।
|
||||
২৬
|
রচনা সমগ্র প্রকাশ:
সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনী সংস্থ্যা তাদের নিজেদের আদর্শের খ্যাতিমান লেখকদের রচনা সমগ্র প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে ঐ লেখকের যে আদর্শ তা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
|
ইসলামপ্রীয়দের দু একজনের রচনাবলী প্রকাশ হয়েছে। তা আবার পূর্নাঙ্গ নয়।
|
||||
২৭
|
নাটক নির্মাণ:
সেকুলার জীবন ব্যবস্থা ও সনাতন ধর্মীয় বিষয়কে অবলম্বন করে বাংলাভাষার প্রতিটি চ্যানেল প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টি নাটক প্রদর্শন করে থাকে।
|
ইসলামপ্রীয়দের কোনো টিভি মিডিয়া না থাকায় কোনো নাটকই নির্মাণ হয় না।
|
||||
২৮
|
পোস্টার, লিফ্লেট, সুভেনির করা:
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্ট ও বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের জন্ম মৃত্যু দিবসে পোস্টার, লিফলেট করে প্রচার করা হয়
|
ইসলামপ্রীয়রা কিছু কিছু অনুষ্ঠানে এক কাজগুলো করে থাকি।
|
||||
২৯
|
চলচ্চিত্র নির্মাণ:
পাকিস্তান আমল থেকেই তারা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রদর্শন করে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পুরোপুরি বাম ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়ে আসছে। এতে করে দর্শক শ্রোতা সেকুলার হয়ে যায় এবং ভোগ বিলাসি হয়ে ওঠে।
|
ইসলামপ্রীয়দের কোনো চলচ্চিত্রই নির্মাণ হয়নি।
|
||||
৩০
|
ইতিহাস ভিত্তিক টিভি সিরিয়াল নির্মাণ:
ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নাটক তৈরি করে প্রদর্শন করে। যা মুসলিম ইতিহসান মাঝে মাঝে বিকৃত করে প্রদর্শ করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের কোনো ইতিহাস বিষয়ক নাটক নির্মাণ হয়নি।
|
||||
৩১
|
স্কলারসিপ:
বাংলাদেশের প্রতিভাবান তরুণদের উচ্চতর সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য স্কলারসিপ দিয়ে দেশের সনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশেও পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের এ কার্যক্রম এখনও শুরু করা হয়নি।
|
||||
৩২
|
সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ:
সরকারী ও বেসরকারীভাবে ছায়ানট, বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রসহ সারাদেশে অসংখ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছে। যেখানে তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার সাংস্কৃতিক কর্মী।
|
ইসলামপ্রীয়দের এ ধরনের কোনো কমপ্লেক্স নেই। সাংস্কৃতিক কর্মীদের একন্ত মিলনের কোনো স্থান গড়ে ওঠেনি। সারাদেশে আমাদের সাংস্কৃতিক কমপ্লেক নির্মাণ করা প্রয়োজন।
|
||||
৩৩
|
ছড়াগান, গল্পপাঠের আসর:
বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও চ্যানেলে ছড়াগান ও গল্পপাঠের আসর করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়রা কিছু ছড়াগান করলেও গল্পপাঠের আসর নাই।
|
||||
৩৪
|
স্কুল কার্যক্রমের সাথে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড:
ছায়ানট, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সহ অনেক প্রতিষ্ঠান স্কুলের সাথে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। এতে শিশুকাল থেকেই একটি আদর্শে বড় হতে থাকে।
|
স্কুল ভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সীমিত আকারে করা হয়।
|
||||
৩৫
|
নজরুলকে নিয়ে অনুষ্ঠান:
নজরুলের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে সামান্য কিছু অনুষ্ঠান করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়রাও নজরুলের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে অনুষ্ঠান করে থাকি। সারা বছর দেশ ব্যাপী নজরুলের হামদ, নাত, আবৃত্তি ও শিশুদের অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন
|
||||
৩৬
|
নবী সা. দিবস:
রসুল সা.কে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা হয় না।
|
ইসলামপ্রীয়রা শুধু নবী দিবসে কিছু অনুষ্ঠান করে থাকি। সারা বছর দেশ ব্যাপী নবী সা.কে অনুষ্ঠান করা, পূনরায় শিশু মেলা করা প্রয়োজন।
|
||||
৩৭
|
গান রচনা ও সুর করা:
সম্মানীর বিনিময় গান রচনা ও সুর করে টিভি, রেডিও ও সিডিতে প্রচার করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়রা শুধু সিডির মাধ্যমে প্রচার করি।
|
||||
৩৮
|
পালা গান, গজল, জারি সারির অনুষ্ঠান:
সারা দেশে সবসময় পালাগান, গজল ও জারি সারি গানের অনুষ্ঠান করা হয়।
|
ইসলামপ্রীয়দের এমন কোনো অনুষ্ঠান নাই
|
||||
যাঁদের সহযোগতি, পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা এই লেখাটি হয়: ফৌজ ইলাহী এসিএ, এভিপি এন্ড ইনচার্জ (অর্থ ও হিসাব), ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন। নিজাম উদ্দীন মোহাম্মদ মুর্তাজা, সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্র।
কোন মন্তব্য নেই